বাড়তি পাওয়া

বাড়তি  পাওয়া
কলিং বেলটা বাজিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়ালো সৌরভ আর মল্লিকা। না: ঠিক বাড়িতেই এসেছে। কাল ব্যালকনিতে বসে বাংলা কথা শোনার পরেই সৌরভ বেরিয়ে পড়েছিল তাদের টাওয়ারে বাঙালি নাম খুঁজেতে। যদিও নিচের নেম্-প্লেটের লিস্টে শুধু ফ্ল্যাটের মালিকদের ই নাম থাকে। তবুও সরকার পদবিওলা প্লেট খুঁজে পেতে দেরী হল না। ব্যস, ছেলে পরদিন অফিসে বেরোতেই দুজনে গুটিগুটি হাজির সরকার- বাড়িতে। বাঙালি শুনে ভদ্রমহিলা তো মহা উত্সাহে ওদের বসালেন। কথায় কথায় মল্লিকা বলে- ঐ যে কাল আপনি প্যরাম্বুলেটরে বাচ্চাকে নিয়ে---- ভদ্রমহিলার চোখ কপালে—বাচ্চাকে নিয়ে? প্যরাম্বুলেটরে! মল্লিকা অপ্রস্তুত-- তো আপনি— --আরে আমার তো একটাই ছেলে। শিবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। মল্লিকা ততক্ষণে বুঝে ফেলেছে তার কাণ্ডটা । খুব স্মার্টলি সামাল দেবার চেষ্টা করে । --তবে তো আরও একজন বাঙালি আছে। এই টাওয়ারে তাহলে দুজন হল। মহিলাও কিছু কম যান না। মল্লিকার হাত ধরে বলেন, --না দিদি আপনাকে নিয়ে তিনজন ।